নাইক্ষ্যংছড়ি ;
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গভীর বনাঞ্চলে গড়ে উঠেছে ৬টি অবৈধ ইটভাটা। প্রতিদিন এসব ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে বন থেকে কাটা কাঠ ও পাহাড় কেটে আনা মাটি। এতে একদিকে যেমন বন ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমিধসের ঝুঁকি। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সংস্থাগুলোকে ‘ম্যানেজ’ করেই দীর্ঘদিন ধরে চলছে এসব কার্যক্রম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইটভাটায় প্রতিদিন ট্রাকভর্তি করে কাঠ সরবরাহ করা হচ্ছে। এগুলো ব্যবহার হচ্ছে জ্বালানি হিসেবে। মাটিও সংগ্রহ করা হচ্ছে পাহাড় কেটে, যা পরিবেশ ও পাহাড়ি জনপদের জন্য বড় হুমকি।
বন বিভাগ বা পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো কোনো ধরনের অভিযান বা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে।
ইটভাটার ধোঁয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশু ও শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা ও ত্বকের রোগসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
পরিবেশবাদী ও সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, “বনের ভেতর ইটভাটা স্থাপনে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটা স্থাপন শুধু বেআইনি নয়, বরং মারাত্মক পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনছে।” তিনি দ্রুত এসব ইটভাটা উচ্ছেদের দাবি জানান।
স্থানীয়রা বলছেন, চোখের সামনে বন ধ্বংস হতে দেখলেও কিছু বলার সাহস বা সুযোগ নেই। কারণ ইটভাটা মালিকরা প্রভাবশালী এবং প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।
জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।